শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
করোনাভাইরাস : মিরপুরে বাসিন্দার মৃত্যুতে আতঙ্কে এলাকাবাসী

করোনাভাইরাস : মিরপুরে বাসিন্দার মৃত্যুতে আতঙ্কে এলাকাবাসী

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকায় শনিবার যে ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন, তার আবাসস্থল মিরপুর উত্তর টোলারবাগে জনমনে এখন এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই ব্যক্তি আক্রান্ত অবস্থাতেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোয়, স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন যে, এই ভাইরাস ইতোমধ্যে আশেপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে।

এমন অবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।

কথা হচ্ছিল মিরপুর টোলারবাগের এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।

তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ভয়ে আমরা এমনিতেই কম বের হতাম কিন্তু এই মৃত্যুর কারণে পুরো এলাকাই মনে হচ্ছে যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই। সবাই এক ধরণের গৃহবন্দি। বাড়ির কাজের লোকদেরও আসতে মানা করা হয়েছে। আমাদের ধারণা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে এই ভাইরাস হয়তো অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।”

তবে গণমাধ্যমে নয়তলা ওই ভবনটি লকডাউন করার যে খবর প্রচার করা হচ্ছে সেটির ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মিরপুরের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ।

তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে ওই ভবনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এবং ভবনের বাকি সদস্যদের সতর্কতার সাথে চলাফেরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে ফ্ল্যাট মালিকরা পুলিশ, আইইডিসিআর ও সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনায় ভেতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাছ করছে বলে জানান মি. আহমেদ।

“করোনায় আক্রান্ত রোগীর পরিবারকেই শুধু কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর অফিশিয়ালি কোনো ভবন লকডাউন করা হয়নি। ভবনের বাসিন্দারা তাদের নিরাপত্তার জন্যই চলাচল সীমিত করেছেন। আমরা বলছি তারা যেন মাস্ক পরে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বের হন,” তিনি বলেন।

আক্রান্ত ব্যক্তি মিরপুরে যে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, সেখানকার চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

ইতোমধ্যে একজন চিকিৎসক কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, “যখন পরীক্ষায় জানা যায় যে ওই রোগী করোনা পজিটিভ তখন তো পুরা হাসপাতালেই একটা উদ্বেগজনক অবস্থা। এজন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে গিয়েছি। আমি তো এখনও জানি না, আমি বা আমার সহকর্মীদের কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা। তো স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছি।”
সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877